আদালত প্রতিবেদক: চিত্রনায়িকা পরীমণিকে আবারও রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) আদালতে হাজির করে তাকে আরও পাঁচদিন রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি)। এ পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জর করেন ঢাকা মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট দেবব্রত বিশ্বাস।
এর আগে সোয়া ১২টার দিকে পরীমণি, প্রযোজক নজরুল ইসলাম রাজ, মডেল মরিয়ম আক্তার মৌ, আশরাফুল আলম দীপু ও সবুজ আলীকে আদালতে হাজিরা করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষের প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু বলেন, চারদিনের রিমান্ড শেষে বনানী থানার মাদক মামলায় তদন্ত কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে ফের পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করেন। এ সময় আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল করে জামিন আবেদন করলে রাষ্ট্রপক্ষ তার বিরোধিতা করে। উভয়পক্ষের শুনানি শেষে বিচারক দুইদিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার মাদক মামলায় তাদের চারদিনের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে সিআইডি।
মঙ্গলবার পৌনে ১২টার দিকে রাজধানীর মালিবাগের সিআইডির প্রধান কার্যালয় থেকে তাদের নিয়ে আদালতে রওনা দেয় সংস্থাটি। এ সময় সিআইডির অ্যাডিশনাল ডিআইজি শেখ ওমর ফারুক সমকালকে বলেন, আদালতে পরীমণিসহ চারজনের বিরুদ্ধে আরও পাঁচদিনের রিমান্ড আবেদন করা হবে।
গত ৪ আগস্ট প্রায় ৪ ঘণ্টার অভিযান শেষে বনানীর বাসা থেকে পরীমণি ও তার সহযোগীকে আটক করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)। এসময় তার বাসা থেকে বিভিন্ন ধরনের মাদকদ্রব্য জব্দ করা হয়।
আটকের পর তাদের নেওয়া হয় র্যাব সদরদপ্তরে। বুধবার রাতে সেখানেই থাকতে হয় পরীমণিকে। বৃহস্পতিবার র্যাব-১ বাদী হয়ে মাদক আইনে পরীমণির বিরুদ্ধে মামলা করে। মামলা দায়েরের পর সেদিনই তাকে আদালতে নেওয়া হলে চারদিনের রিমান্ড দেওয়া হয়।
ওইদিন শুনানিতে অংশ নিয়ে আবদুল্লাহ আবু বলেন, মামলার আসামি পরীমণির বাসায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ মাদক জব্দ করা হয়। এ মাদক কোথা থেকে এল, তার উৎস কী, কে এই মাদক পাঠাল? মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে তাকে রিমান্ডে নেওয়া প্রয়োজন।
তখন পরীমণির আইনজীবী নিলাঞ্জনা রিফাত সুরভী বলেন, পরীমণির বাসা থেকে যে সাড়ে ১৮ লিটার মদ জব্দ দেখানো হয়েছে, তা তার বাসায় ছিল না। তার বাসায় কয়েকটি খালি মদের বোতল ছিল। সেগুলো ডেকোরেশন পিস হিসেবে রাখা ছিল। এগুলো জব্দ তালিকায় দেওয়া হয়েছে। এছাড়া তার কাছে কোনো আইস এবং এলএসডি ছিল না। আমরা তার জামিন চাই।